‘লক্ষ্মীপুরে স্বামী-স্ত্রীর অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার’
কাজী মহিউদ্দিন মঈনঃ-
কাজী মহিউদ্দিন মঈনঃ-
লক্ষ্মীপুর সদরে বাসার দরজার তালা ভেঙে স্বামী-স্ত্রীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে লক্ষ্মীপুর সদর থানা পুলিশ। সোমবার ১৭ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার শাকচর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের শাকচর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম আবু ছিদ্দিক (৮০) ও আতরের নেছা (৬৫)।এই দম্পতিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে ও ৪-৫ দিন আগে ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে পুলিশ প্রাথমিক ধারণা করছে। স্থানীয় লোকজন জানান, নিহত ছিদ্দিক দুবাই প্রবাসী ছিলেন। প্রায় ১৫-১৬ বছর আগে দেশে আসেন তিনি। নিহত দম্পতির কোনো সন্তানাদি নেই। ৬-৭ মাস বয়সের এক শিশুকে দত্তক নিয়ে নিজেদের সন্তান পরিচয় দিয়ে লালন-পালন করেন এই দম্পতি। তার নাম আবদুর রহিম শামছু। এলাকাবাসী জানান, শামছুকে বড় করে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের বাঞ্চানগর এলাকায় বিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই ছেলে বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তাঁর পালিত বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকছেন না।
শামছু শ্বশুর বাড়ি বসবাস করছেন। আর ছিদ্দিক তার স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন শাকচরে।নিহত ছিদ্দিকের ভাই আবদুল করিম ও ভাতিজা জাকির হোসেন জানান, ছয়দিন আগে তেরবেকি এলাকার দেবর কালামের বাড়ি যান আতরের নেছা। এরপর থেকেই ছিদ্দিক ও তার স্ত্রীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।সম্প্রতি ছিদ্দিক ও তার ভাই আবদুল করিম, আবুল কালামসহ স্বজনরা এক ব্যক্তির কাছে তাঁদের কয়েক শতাংশ জমি বিক্রি করেন। কিন্তু তা রেজিস্ট্রি দেওয়া হয়নি। এজন্য ছিদ্দিকের এনআইডি কার্ড নিতে ওই বাসায় যান স্বজনরা। প্রথমে গেট তালাবদ্ধ দেখলেও পরে পচা গন্ধ ভেসে আসায় স্বজনরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে পুলিশে খবর দেন।
খবর পেয়ে পুলিশ এসে গেটের তালা ভেঙে বাসার ভেতরে ঢুকলে খাটের ওপর অর্ধগলিত দুজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। তাঁদের গলায় ফাঁসির কায়দায় কাপড় বাঁধা ছিলো।
লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, দুজনের মরদেহ আমরা দেখেছি। তাঁদের শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে ঘটনা। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
নিহতের নাম আবু ছিদ্দিক (৮০) ও আতরের নেছা (৬৫)।এই দম্পতিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে ও ৪-৫ দিন আগে ঘটনাটি ঘটতে পারে বলে পুলিশ প্রাথমিক ধারণা করছে। স্থানীয় লোকজন জানান, নিহত ছিদ্দিক দুবাই প্রবাসী ছিলেন। প্রায় ১৫-১৬ বছর আগে দেশে আসেন তিনি। নিহত দম্পতির কোনো সন্তানাদি নেই। ৬-৭ মাস বয়সের এক শিশুকে দত্তক নিয়ে নিজেদের সন্তান পরিচয় দিয়ে লালন-পালন করেন এই দম্পতি। তার নাম আবদুর রহিম শামছু। এলাকাবাসী জানান, শামছুকে বড় করে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের বাঞ্চানগর এলাকায় বিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই ছেলে বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তাঁর পালিত বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকছেন না।
শামছু শ্বশুর বাড়ি বসবাস করছেন। আর ছিদ্দিক তার স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন শাকচরে।নিহত ছিদ্দিকের ভাই আবদুল করিম ও ভাতিজা জাকির হোসেন জানান, ছয়দিন আগে তেরবেকি এলাকার দেবর কালামের বাড়ি যান আতরের নেছা। এরপর থেকেই ছিদ্দিক ও তার স্ত্রীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।সম্প্রতি ছিদ্দিক ও তার ভাই আবদুল করিম, আবুল কালামসহ স্বজনরা এক ব্যক্তির কাছে তাঁদের কয়েক শতাংশ জমি বিক্রি করেন। কিন্তু তা রেজিস্ট্রি দেওয়া হয়নি। এজন্য ছিদ্দিকের এনআইডি কার্ড নিতে ওই বাসায় যান স্বজনরা। প্রথমে গেট তালাবদ্ধ দেখলেও পরে পচা গন্ধ ভেসে আসায় স্বজনরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে পুলিশে খবর দেন।
খবর পেয়ে পুলিশ এসে গেটের তালা ভেঙে বাসার ভেতরে ঢুকলে খাটের ওপর অর্ধগলিত দুজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। তাঁদের গলায় ফাঁসির কায়দায় কাপড় বাঁধা ছিলো।
লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, দুজনের মরদেহ আমরা দেখেছি। তাঁদের শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে ঘটনা। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।